ই পাসপোর্ট আবেদন করেছেন কিন্তু আবেদন শেষ করার পর দেখলেন আপনার পাসপোর্ট আবেদনে ভুল তথ্য রয়েছে। ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল না করলে তখন আপনি চাইলেও পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করতে পারবেন না।

ই পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করে শেষ ধাপে যখন আবেদন সাবমিট করা হয়, তখন সেখানে লেখা থাকে যে আপনি যদি আবেদনটি সাবমিট করেন, তবে সাবমিট করা তথ্য সংশোধন করতে পারবেন না। এজন্য, সকল তথ্য যাচাই করে তবেই সাবমিট করতে হবে।

কিন্তু, আপনি চাইলে ই পাসপোর্ট আবেদনটি সংশোধন করার জন্য বা ভুল তথ্য সহ আবেদন করা ই পাসপোর্ট আবেদনটি বাতিল করে নতুন এবং সংশোধিত তথ্য দিয়ে একটি ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন। এজন্য, পোস্টটি সম্পূর্ণ পড়তে হবে।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক বরাবর একটি আবেদনপত্র লিখতে হবে। আবেদনপত্রে Online Registration ID এবং আপনার পাসপোর্ট এর অন্যান্য তথ্য উল্লেখ করতে হবে। অতঃপর, আপনি কেন আবেদনটি বাতিল করতে চাচ্ছেন সেটি লিখতে হবে। এরপর, আবেদনটি জমা দেয়ার মাধ্যমে ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার সময় যদি ভুল তথ্য সাবমিট করে থাকেন বা ই পাসপোর্ট না করতে চান, তাহলে আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত করার মাধ্যমে আপনার ই পাসপোর্ট এর আবেদনটি বাতিল করতে পারবেন। এজন্য একটি দরখাস্ত লিখতে হবে। দরখাস্ত লেখার সময় পাসপোর্টের তথ্য এবং আবেদন বাতিল করার কারণ উল্লেখ করতে হবে।

যারা ই পাসপোর্ট বা MRP পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করতে চাচ্ছেন তারা নিচে উল্লেখ করে দেয়া পদ্ধতি অনুযায়ী একটি আবেদনপত্র লিখে এটি সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার মাধ্যমে পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত

তারিখ: . . . . . . . . . . . . . .
বরাবর,
সহকারী পরিচালক
আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস
…………………………………………..

বিষয়: ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত

জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি ……………………………………., পিতা: ……………………………………., মাতাঃ ……………………………। আমি গত …………………………… তারিখে ই পাসপোর্টের জন্য একটি অনলাইন আবেদন করি। পাসপোর্ট আবেদনের Online Registration ID হচ্ছে: …………………………………………..। কিন্তু ভুলবশত পাসপোর্ট আবেদনে আমার ………………………………………………………………….. ভুল লেখা হয়। এমতাবস্থায় আমি উক্ত আবেদনটি বাতিল করে নতুনভাবে পাসপোর্ট আবেদন করতে চাই।

অতএব, মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন এই যে, আমার পরিস্থিতির দিক বিবেচনা করে পূর্বের ই পাসপোর্ট আবেদনটি বাতিল করে নতুন করে পাসপোর্ট আবেদন করার সুযোগ প্রদান করলে আপনার একান্ত মর্জি হয়।

বিনীত নিবেদক-
নাম: …………………………………………………………
ঠিকানা: …………………………………………………………………………………
মোবাইল: ………………………………………

উপরে উল্লিখিত এই নমুনাটি অনুসরণ করে অনেক সহজেই একটি আবেদনপত্র লিখতে পারবেন। আবেদনপত্রটি লেখার পর সেটি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জমা দেয়ার মাধ্যমে নতুন ই পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত pdf download

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত pdf download করার জন্য নিচে সংযুক্ত ফাইলের নিচে থাকা Download বাটনে ক্লিক করুন। এরপর, পিডিএফ ফাইলটি প্রিন্ট করে সেটিতে আপনার তথ্য পূরণ করুন। অতঃপর, আঞ্চলিক ই পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করার পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের সাথে আবেদনপত্রটি জমা দিন।

এরপর, তারা অনুমোদন দিলে আপনি নতুন করে পাসপোর্ট আবেদন করতে পারবেন এবং আপনার পূর্বের আবেদনে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করতে পারবেন। কিন্তু, একবার পাসপোর্ট হয়ে গেলে যদি ই পাসপোর্ট চেক করে দেখেন আপনার তথ্যে ভুল রয়েছে, তাহলে আপনাকে নতুন করে ই পাসপোর্ট আবেদন করতে হবে।

এ বিষয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে একটি বিস্তারিত আর্টিকেল পাসপোর্ট সংশোধন করার নিয়ম প্রকাশিত হয়েছে। আপনারা চাইলে এটি অনুসরণ করতে পারেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন সংশোধন করার নিয়ম

ই পাসপোর্ট আবেদন সাবমিট করার পর যদি দেখেন আপনার আবেদনে দেয়া তথ্য ভুল রয়েছে। তাহলে আপনি উক্ত আবেদনটি অনলাইনে সংশোধন করতে পারবেন না। আবেদন সংশোধন করার জন্য আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যেতে হবে উক্ত আবেদনের প্রিন্ট কপি, সারাংশ কপি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে। অতঃপর, ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার দরখাস্ত লিখে সেটি সহ সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

তাহলে, পাসপোর্ট অফিসে থাকা সহকারী পরিচালক আপনার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পূর্বের পাসপোর্ট আবেদনে থাকা ভুল তথ্য সংশোধন করে সঠিক তথ্য দিয়ে পাসপোর্ট আবেদন সম্পন্ন করে আপনাকে ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবেন।

যাদের পাসপোর্ট আবেদন করার সময় তথ্যে ভুল হয়েছে, তারা এই পদ্ধতি অনুসরণ করার মাধ্যমে আবেদনে থাকা তথ্য সংশোধন করতে পারবেন।

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করলে আবারও পেমেন্ট করতে হবে?

অফলাইন পেমেন্ট এর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করলে আবারও পেমেন্ট করতে হবেনা। অনলাইনে আপনার ই পাসপোর্ট আবেদন ফি জমা দেয়া থাকলে সেটি বাতিল হয়ে যাবে। তাই, ব্যাংকের মাধ্যমে অফলাইনে পাসপোর্ট ফি জমা দিন। এই চালানটির মেয়াদ থাকে ৬ মাস। তবে, পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করে আবারও আবেদন করার সময় পূর্বের পাসপোর্ট আবেদনে থাকা পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং মেয়াদ এক হতে হবে।

কারণ, পাসপোর্ট এর পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং মেয়াদের উপর ভিত্তি করে পাসপোর্ট ফি কত টাকা তা নির্ধারিত হয়। তাই, আবেদন বাতিল করে নতুন করে আবেদন করার সময় একই চালান ব্যবহার করতে চাইলে পাসপোর্টের পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং মেয়াদ একই হতে হবে।

সারকথা

ই পাসপোর্ট আবেদন বাতিল করার নিয়ম নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। ই পাসপোর্ট অনলাইন আবেদন বাতিল করার নিয়ম জানতে আগ্রহী, তাদের জন্য পোস্টটি সহায়ক হবে বলে আশা করছি। আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *